প্রবাসি সহকর্মী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক

চলে গেলেন নিউ ইয়র্কের প্রিয়মুখ টনি

চলে গেলেন নিউ ইয়র্কের প্রিয়মুখ টনি ফাইল ফটো: তৈয়বুর রহমান টনি

এনওয়াইসি (চ্যানেল টিটি): খুব বেশি দিন হয়নি আপন দু'ভাই প্রাণ হারিয়েছিলেন। বিধাতার লিখন এবার  চলে গেলেন তিনি নিজেও। নাম তৈয়বুর রহমান টনি। (ইন্নাল্লিাহি ওয়া ইন্না ইলাইহ রাজেউন)। নিউ ইয়র্ক বাংলাদেশি কমিউনিটিতে সবার প্রিয়মুখ ছিলেন  তিনি। 

সদা হাসৌজ্জল টনির মৃত্যুতে গভীর শোক নেমে আসে নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশি কমিউনিটিতে। জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসি তৈয়বুর রহমান টনি মৃত্যুবরণ করেছেন মাতৃভূমি বাংলাদেশে।  ২৫ অক্টোর, রোববার রাজধানী ঢাকার জিগাতলায় নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন তৈয়বুর রহমান টনি।

তবে, কি ভাবে কেনই বা মৃত্যবরণ করেছেন তিনি, এ বিষয়টি এখনো পরিস্কার নয়। তৈয়বুর রহমান টনির মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি বলে চ্যানেল টিটিকে নিশ্চিত করেছেন তার এক সুহৃদ। তিনি বলেন, রুমের দরজা ভেঙ্গে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। যদিও ডাক্তারি পরীক্ষা নিরীক্ষা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়ার পর টনির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

এর  আগেই আপন দুই বড় ভাই-কে হারালেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপ প্রচার সম্পাদক ও মোড়েলগঞ্জ উপজেলা সোসাইটি ইউএসএ’র সাধারণ সম্পাদক তৈয়বুর রহমান টনি। তার বড় ভাই বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও রাষ্ট্রপক্ষের মামলা পরিচালনায় নিয়োজিত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট নজীবুর রহমান। গেল বছর ২৭ ডিসেম্বর  ঢাকায় ইন্তেকাল করেছিলেন। তার ঠিক মাস খানেক আগেই টনির বড় ভাই, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ মাহাবুবুর রহমান রানাও মারা যান।

গেল বছরের ২৩ নভেম্বর  আকস্মিক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার জিগাতলায় নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছিলেন তৈয়বুর রহমান টনির বড় ভাই। গেল বছর এক মাসের ব্যবধানের আপন দু'ভাইকে হারিয়ে অনেক ভেঙ্গে পড়েছিলেন টনি। বিধার লিখন ঠিক এক বছর যেতে না যেতেই নিজেও চলে গেলেন মৃত্যুযবনিকার ওপারে। 

 বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্র শাখার উপ প্রচার সম্পাদক ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসি তৈয়বুর রহমান। "টনি ভাই ব্যক্তি জীবনে খুব মিশুক প্রকৃতির,  স্বল্পভাষী, সদালাপী এবং স্বার্থহীন মানুষ ছিলেন।" চ্যানেল টিটিকে এমনটি জানিয়েছন তার এক রাজৈনিতক সহপাঠি। 

তার এই মৃত্যুতে নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশি কমিউনিটেত নেমে আসে শোকের ছায়া। টনির বন্ধমহলের তালিকায় ছিলেন অনেক প্রবাসি সাংবাদিক ও গণামধ্যমকর্মীরা। 

বাংলাদেশে প্রিয় মানুষটির মৃত্যুর খবের গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন তারা। প্রবাসি সাংবাদিক আকবর হায়দার কিরণ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, "আমার প্রিয় বন্ধু , প্রিয় ভাই তৈয়বুর রহমান টনি স্মৃতি হয়ে গেলো। জিগাতলার বাসায় বেশ ক’মাস থেকে ওখানে ছিলো পারিবারিক সম্পদ বিষয় নিয়ে। ঢাকা থেকে এই শোক জানালেন  টনির ঘনিষ্ঠ বন্ধু , অনন্যা প্রকাশনীর মালিক মনিরুল হক। দরোজা ভেংগে তাকে মৃত পাওয়া যায়। আল্লাহ তাকে বেহেস্ত নসিব করুন।"


ঠিক একই ভাবে নিজের ফেসবুকে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন নিউ ইয়র্কের আরেক সাংবাদিক নিহার সিদ্দিকী। তিনি বলেন, "আমার বন্ধুটি হারিয়ে গেলো। টনি আমার ভালো বন্ধুদের মধ্যে একজন। ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।"

 
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের বিদায়ী কমিটির উপ-প্রচার সম্পাদক তৈয়বুর রহমান টনির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এক শোক বার্তায় প্রবাস জীবনে টনির জীবন, যৌবন ছিল তারুণ্যের উজ্জল প্রতীক। ডক্টর মোমেন মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনার পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত  পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। 

এছাড়া, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্র শাখার তরফেও টনির মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানানো হয়।