সংবাদ বুলেটিন, বিষয় ভিত্তিক অনুসন্ধানি ও বিশ্লষনমূলক অনুষ্ঠানের কাজ অব্যাহত 

অক্টোবর থেকেই পূর্নাঙ্গ সম্প্রচারে আসছে 'চ্যানেল টিটি'

ডেস্ক রিপোর্ট (চ্যানেল টিটি): সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতে বছরের অক্টোবর থেকেই পূর্নাঙ্গ সম্প্রচারে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক ডিজিটাল ব্রডকাস্টিং মিডিয়া "চ্যানেল টিটি'। সচেতনতার কথা বলে (স্পিকস অব অ্যাওয়ারনেস) এই শ্লোগানকে সমানে রেখেই পুরোপুরি সম্প্রচারে আসছে তিন ধারার এ গণমাধ্যমটি।

যদিও 'চ্যানেল টিটি' পরীক্ষামূলক সম্প্রচার হয়ে আসছে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে। গেল মার্চেই আনুষ্ঠানিক সম্প্রচারের কথা ছিল। কিন্তু বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতি করোনা মহামারির কারণে তা সম্ভব হয়নি। ফলে, চ্যানেল টিটি কর্তৃপক্ষ আগামি অক্টোবরকেই বেছে নিয়েছেন।

নিউ ইয়র্ক থেকে যাত্রা শুরু করলেও, চ্যানেল টিটির রয়েছে বাংলাদেশ ব্যুরো অফিস। যেখানে কাজ করছে তরুণ উদীয়মান সংবাদকর্মীরা। 'ট্রাফিক, ট্রান্সপোর্ট, ট্যুরিজম ও টেকনলোজি' এসব বিষয়টিগুলো প্রাধান্য পাচ্ছে 'চ্যানেল টিটি'র সংবাদ ও অনুষ্ঠানে। বাংলাদেশ সহ, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রবাসিদের জীবন সংগ্রামের কথাও থাকবে চ্যানেল টিটিতে। টেলেভিশন সংবাদ ও অনুষ্ঠানের পাশাপাশি চ্যানেলটির বাংলা এবং ইংরেজি ভাষায় থাকছে নিউজ কন্টেট। যা ভিজ্যুয়ালের স্টোরির সাথে সামাঞ্জস্য রেখেই দর্শক এবং পাঠকদের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে। এমনটি জানিয়েছেন, গণমাধ্যমটির এডিটর শিবলী চৌধুরী কায়েস।

'চ্যানেল টিটি'র সংবাদ বুলেটিন, বিষয় ভিত্তিক অনুসন্ধানি ও বিশ্লষনমূলক অনুষ্ঠানের কাজ অব্যাহ রয়েছে। https://www.youtube.com/watch?v=vv1YDZo1p7g  

এছাড়া বাংলাদেশের সমসাময়িক ঘটনা, দুর্ঘটনা নিয়ে সপ্তাহের সবশেষ বিশ্লেষনমূলক অনুষ্ঠান "অ্যান্ড অব দ্য উইক"। থাকছে প্রতি সপ্তাহের সংবাদ বুলেটিন "বাংলাদেশ উইক"। উদীয়মান এবং উদ্যোক্তাদের জীবন সংগ্রামের গল্প নির্ভর অনুষ্ঠান "সিটিটি আইকন বাংলাদেশ'সহ বেশ কিছু অনুষ্ঠান। থাকছে ট্রাফিক, ট্রান্সপোর্ট বিড়ম্বনা এবং ট্যুরিজম সম্ভাবনা নির্ভর একাধিক বিশেষ শো ও সংবাদ প্ররিক্রমা। https://www.facebook.com/watch/live/?v=220300575849089&ref=watch_permalink 

একই সঙ্গে নিউইয়র্ক থেকে সম্প্রচারিত হবে সাপ্তাহিক সংবাদ "সিটিট ইউকলি বুলেটিন", ইমিগ্রেশন এবং অভিবাসিদের গুরুত্বপূর্ন খবরাখবর বিশেষ টক-শো "জাস্ট নাউ"। "সিটিটি আইকন আমেরিকা"। "ফ্রাইডে নাইট রিয়েল টক"। কঠোর পরিশ্রমী ও গাড়ি চালকদের নিয়ে থাকছে "ক্যাবি টক", "ট্যুরিস্ট টক", "হেলথ টক" অন্যতম। এছাড়া থাকছে ট্রাফিক, ট্রান্সপোর্ট বিড়ম্বনা এবং ট্যুরিজম সম্ভাবনা নির্ভর একাধিক বিশেষ শো ও সংবাদ প্ররিক্রমা।

শুরুতেই  নিউইয়র্ক (যুক্তরাষ্ট্র) এবং বাংলাদেশ থেকে অনুষ্ঠান ও সংবাদ সম্প্রচার করবে চ্যানেল টিটি। ধাপে ধাপে তা যুক্তরাজ্য, ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের ছড়িয়ে দেয়া হবে। বাংলাদেশের গড়ে তোলা হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ব্যুরো অফিস। এমনটি জানান, বাংলাদেশ ব্যুরো প্রধান কাজী লুৎফুল কবীর।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়া ‘চ্যানেল টিটি’ দশর্ক শ্রোতা এবং পাঠকদের  জন্য আরো বেশ কয়েকটি নিয়মিত অনুসন্ধানী ও বিশ্লেষনমূলক প্রতিবেদন প্রচার করার ঘোষণা দিয়েছে। একই সঙ্গে দর্শক শ্রোতাদের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে সচেতনতামূলক বিশেষ অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। যা তরুণদের পজেটিভ কাজে অংশগ্রহণ'সহ সমাজ পরিবর্তনে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস 'চ্যানেল টিটি' কর্তৃপক্ষের।
 
'চ্যানেল টিটি' বাংলাদেশ ব্যুরো অফিস কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে, বর্তমানে দর্শক শ্রোতারা অনেক সচেতন। তারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বের যে কোন সংবাদ দ্রুত পেয়ে যান। তবে, এতে সমস্যাও রয়েছে। অনেক ভুল  তথ্য এবং বানোয়াট সংবাদও ছড়িয়ে পড়ছে নেট দুনিয়া। তাইতো, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে 'চ্যানেল টিটি' ব্যবহারকারী (নেটিজনদের) কাছে বস্তুনিষ্ঠ এবং বাস্তবধর্মী সংবাদ ও অনুষ্ঠান পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।

আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর আগেই সংবাদ ও অনুষ্ঠান ভিত্তিক নতুন স্যাটেলাইট টিভি (আইপিটিভি মিডিয়া) 'চ্যানেল টিটি' দর্শক ও অনলাইন পাঠকদের জন্য আলাদা আলাদা ক্যাটাগরির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। যার মধ্যদিয়ে বিশ্বের অন্যান্য আধুনিক নিউজ পোর্টালের মতো চ্যানেল টিটি ওয়েব সাইটেও দেশ, শহর এবং বিভাগের পাঠকেরা তাদের স্ব স্ব সংবাদ লগ.অন করেই হোম পেইজে দেখতে পারবেন। যাকে বলে সত্যিকারের ক্লিকেই পাচ্ছেন আপনি ও আপনার শহরের সবশেষ খবরাখবর। একই সঙ্গে যে কোনো ডিভাইস থেকে 'চ্যানেল টিটি'র বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমে ওয়েব পোর্টালের প্রবেশ করলেই স্থানীয় ওয়েদার আপডেট দেখতে পাবেন দর্শক ও পাঠকেরা। পেইজের অগ্রভাগে  থাকছে সঠিক তাপমাত্রার সবশেষ আপডেট।  

'চ্যানেল টিটি' পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু করছে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষ জনপ্রিয় টিভি নেটওয়ার্ক 'রোকু টিভি' প্লার্টফর্মের মধ্যদিয়ে। সর্বাধূনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সম্পূর্ণ এইচডি নির্ভর 'চ্যানেল টিটি' নিজস্ব অ্যাপসের কাজও শেষের পথে। যার মাধ্যমে অগনতি গ্রাহক, দর্শক, পাঠক এবং শুভানুধ্যায়িরা প্রিয় গণমাধ্যমটির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারবেন। এমনটি জানান সংশ্লিষ্টরা। তাদের বিশ্বাস, 'চ্যানেল টিটি'র পথচলায় পাশে থাকবেন পৃষ্ঠপোষক ও শুভানুধ্যায়িরা।